Posts

সাধারণ.

সাধারণ সৌমিত্র বৈশ্য  ওরাও তো বলেছিল,-’সাধারণ মানুষের জন্য’ পত্রিকায় ছাপা হল,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’ দেওয়ালে লেখা ছিল,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’ আমরাও ভাবতাম,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’   আমরা বিশ্বাস করি, সব কিছু আমাদের জন্য আমরা বিশ্বাস করি, ওরা সব আমাদের জন্য আমরা বিশ্বাস করি, দেওয়ালের রঙিন লেখা আমরা বিশ্বাস করি, পত্রিকার মুদ্রিত অক্ষর   আমরা এখনো সাধারণ থেকে আরো সাধারণ পথের ধুলোর চেয়ে,আর কত সাধারণ হব !

সাধারণ

সাধারণ সৌমিত্র বৈশ্য   ওরাও তো বলেছিল,-’সাধারণ মানুষের জন্য’ পত্রিকায় ছাপা হল,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’ দেওয়ালে লেখা ছিল,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’ আমরাও ভাবতাম,-‘সাধারণ মানুষের জন্য’   আমরা বিশ্বাস করি, সব কিছু আমাদের জন্য আমরা বিশ্বাস করি, ওরা সব আমাদের জন্য আমরা বিশ্বাস করি, দেওয়ালের রঙিন লেখা আমরা বিশ্বাস করি, পত্রিকার মুদ্রিত অক্ষর   আমরা এখনো সাধারণ থেকে আরো সাধারণ পথের ধুলোর চেয়ে,আর কত সাধারণ হব !

কূটকচালি সনাতন বিশ্বাস উবাচ

      রাজনীতির মিউটেশন        সম্প্রতি চাকুরী হইতে সেবা নিবৃত্ত হইয়াছি। বৃদ্ধ বলদের স্কন্ধ হইতে সরকার গুরু দায়িত্বের জোয়াল তুলিয়া লইয়াছে। প্রাতঃকাল হইতে উর্ধশ্বাসে দফতরে ছুটিবার তাগাদা নাই। চা-বিস্কুট সহযোগে ‘বার্তালিপি’ পত্রিকাখানা আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়া, বাজারের থলি হস্তে, হেলিয়া দুলিয়া বাজারে গিয়া নয়ন ভরিয়া নতুন আলু, লঙ্গাই বেগুন, ফুল কপি, সীম ইত্যাকার শব্জি দেখিয়া পুলকিত হই। মাছ বাজারে গিয়া জলের সোনালী ফসল হইতে শুরু করিয়া যাবতীয় মীনরূপে মজিয়া, মুগ্ধ হইয়া সর্ব কনিষ্ঠ মূল্যের মৎস্য ক্রয় করিয়া মৎস্য শিকার পর্ব সমাপ্ত করি। অতঃপর, আলু,ফুল কপি, সীম ও পালং শাক কিনিবার সময় সদ্যাগত আগ্নিমুল্য লঙ্গাই বেগুনের প্রতি সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিয়া, বাজার হইতে নিষ্ক্রান্ত হই। শব্জি বাজারে যাহারা সদ্য পতিত হইতেছে, তাহারা অগ্নিমূল্য এবং স্পর্শ করিলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগিতেছে। আমি বুদ্ধিমানের মত, নবাগত কোনও প্রকার শব্জি বা কুলীন মৎস্যকূলের প্রতি হস্ত প্রসারিত না করিয়া, বিক্রেতার কাছে মুল্যমান জানিয়াই, প্রসন্নচিত্তে সত্য যে কঠিন, তাহা উপলব্ধি করিয়া, সহজে গ্রহণ করিবার শিক্ষা দিবার জন্য কবিকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ

আমার কবিতা

শিরোনামহীন-১ সৌমিত্র বৈশ্য  চলো যাই,চলো যাই, অন্য কোনোখানে– ঝিম ধরা জীবনের হাত ছেড়ে দিয়ে কেউ যেন থাকে না সেখানে পরিচয় হীন, নাম ও গোত্রবিহীন একটি জীবন যদি পেয়ে যাই সেথা সহসা জাগিলে সাধ, নতুন রকম সেই ভাষা, জীবনের, শিখে নেব, একা– নিজের সহিত কথা, নিভৃত সে, – তাই ভয় নাই, ডর নাই,পাছে কে কী বলে অকুতঃ সাহসে ভর করে,  দিব্য এ-জীবন লভিবারে ত্যাজিয়া সকল সাধ, নগরীর বিপণীর ভাষা, আর মুদ্রায় সহজলভ্য, যত বিপণীর সাজ– তবু জানি , স্মৃতিও তঞ্চক, গোপনে বহিয়া আনে পুরাতন কথা, তবু ব্যাথা  তার নাই,  শুধু ফেনিল উত্তাল, তাই কোনো আরো রমণীর মত, – লহমায় লুব্ধ করে, পিছনে টানিয়া সভ্যতার অগ্নি লয়ে, ধাবমান প্রেতিনী যেন উহারদের খোলা চুল, নগ্নতায়                                    কামনার নীলাভ আরক ছায়া নাই, নির্জনতা নাই, নাই পাখির কুজন # চলো তবে, যাই আজ, বিশুদ্ধ জীবনে ক্ষুধা নাই, তৃপ্তিহীন হাহাকার  নাই, নশ্বরতা নাই নাই কোনো আত্ম পরিজন হিসাব-কিতাব নাই,  এইখানে আলো করে আছে শুধু ছায়া, ইভ তুমি, রহস্য-আবৃতা– তোমার ভাষায় নেই,সরীসৃপ,আপেলের ঘ্রাণ ০৩.০৭.২০২২ হাইলাকান্দি 

বহুরূপে সম্মুখে তোমার রবীন্দ্র ঠাকুর

Image
    চৈত্র ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা হইতে বিদায়  লইয়াছে। বাঙালী কাহারা,-- ইহাও নাকি একপ্রকার ধাঁধা বিশেষ,- সনাতন এমত একটি সন্দর্ভ একদা জ্ঞাপন করিয়াছিল। ইহা লইয়া যথা সময়ে, আবকাশ মত  বিস্তারিত বলিব। ‘এসো হে বৈশাখ' , গাহিয়া বৈশাখকে আবাহন করিল। স্মরণে আছে, ১৪০০ সালের আবির্ভাব লগ্নটিকে স্মরণীয় করিয়া  রাখিতে, আপামর বাঙালী কী প্রকারে ব্যগ্র হইয়া উঠিয়াছিল। শিলচর শহরেও তাহার ব্যত্যয় হয় নাই। নৃত্য-বাদ্য-গীত ও আবৃত্তি সহযোগে, শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয়ে একটি মহা আয়োজিত হইয়াছিল। তখন নৃত্যগুরু মুকুন্দ ভট্টাচার্য জীবিত ছিলেন। মধ্যাহ্ন কালে আয়োজিত সেই মহতী আনন্দযজ্ঞে, ঔৎসুক্য বশতঃ , আমিও সামিল হইয়াছিলাম। একাধারে পয়লা বৈশাখ, তদুপরি নবাগত ১৪০০ সালের আবাহনে, নৃত্য-বাদ্য-গীত ও আবৃত্তির এহেন আয়োজনে উপস্থিত হইবার লোভ সম্বরণ করিতে পারি নাই। হলুদ পাঞ্জাবী ও শাদা পায়জামা পরিধান করিয়া উপস্থিত হইলাম। শহরের সকল সম্ভ্রান্ত বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি পিপাসুগণ উপস্থিত হইয়াছেন এবং আমি 'হংস মধ্যে বক যথা' হইয়া, পরিচিত কোনো  বিশিষ্ট ব্যক্তির সহিত অকস্মাৎ দৃষ্টি বিনময় হইলে, মৃদু হাস্য সহযোগে মস্তিষ্ক হেলাইয়া

কূটকচালি সনাতন বিশ্বাস উবাচ

কূটকচালি সনাতন বিশ্বাস উবাচ

      রাজনীতির মিউটেশন        সম্প্রতি চাকুরী হইতে সেবা নিবৃত্ত হইয়াছি। বৃদ্ধ বলদের স্কন্ধ হইতে সরকার গুরু দায়িত্বের জোয়াল তুলিয়া লইয়াছে। প্রাতঃকাল হইতে উর্ধশ্বাসে দফতরে ছুটিবার তাগাদা নাই। চা-বিস্কুট সহযোগে ‘বার্তালিপি’ পত্রিকাখানা আদ্যোপান্ত পাঠ করিয়া, বাজারের থলি হস্তে, হেলিয়া দুলিয়া বাজারে গিয়া নয়ন ভরিয়া নতুন আলু, লঙ্গাই বেগুন, ফুল কপি, সীম ইত্যাকার শব্জি দেখিয়া পুলকিত হই। মাছ বাজারে গিয়া জলের সোনালী ফসল হইতে শুরু করিয়া যাবতীয় মীনরূপে মজিয়া, মুগ্ধ হইয়া সর্ব কনিষ্ঠ মূল্যের মৎস্য ক্রয় করিয়া মৎস্য শিকার পর্ব সমাপ্ত করি। অতঃপর, আলু,ফুল কপি, সীম ও পালং শাক কিনিবার সময় সদ্যাগত আগ্নিমুল্য লঙ্গাই বেগুনের প্রতি সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিয়া, বাজার হইতে নিষ্ক্রান্ত হই। শব্জি বাজারে যাহারা সদ্য পতিত হইতেছে, তাহারা অগ্নিমূল্য এবং স্পর্শ করিলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগিতেছে। আমি বুদ্ধিমানের মত, নবাগত কোনও প্রকার শব্জি বা কুলীন মৎস্যকূলের প্রতি হস্ত প্রসারিত না করিয়া, বিক্রেতার কাছে মুল্যমান জানিয়াই, প্রসন্নচিত্তে সত্য যে কঠিন, তাহা উপলব্ধি করিয়া, সহজে গ্রহণ করিবার শিক্ষা দিবার জন্য কবিকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ

কূটকচালি সনাতন বিশ্বাস উবাচ

পাঁচমিশালী সৌমিত্র বৈশ্য    কার্তিক  বিদায় লইল। শৈশব কালে ঋতু পরিবর্তনের আভাস পাইতাম। গ্রীষ্ম হইতে বর্ষা আসিলে, পাঠশালা হইতে ফিরিবার সময়, তুমুল বৃষ্টিতে ভিজিয়া, সর্দি কাশি হইলে, পাড়ার  হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার দাদু, সাদা কাগজে পাউডার মুড়িয়া, ফাউন্টেন পেনে নীল কালিতে লিখিয়া দিতেন,'দৈনিক দুই মাত্রা'।  সঙ্গে ডাক্তার দাদু ইহাও স্মরণ করাইয়া  দিতেন,--'সিজন চেঞ্জ হইতেছে, ঋতু পরিবর্তনের সাবধানে থাকিতে হয়'। ডাক্তার দাদুর এই 'দৈনিক দুই মাত্রা',অতি সুস্বাদু। তবে দুই দিন ক্লাস কামাই দিয়া, নানা প্রকার সুখাদ্য ও লেখাপড়া হইতে অব্যাহতি  পাইয়া, সুস্থ হইয়া পুনর্বার পাঠশালা অভিমুখে যাত্রা করিতে হইত। আশ্বিনের মধ্যভাগেই শিশির পড়িত। শেফালি ফুটিত। সন্ধ্যা কালে শিউলি ফুটিলে, সুগন্ধ মলয় বাতাসে বাহিত হইয়া, ঘ্রাণেন্দ্রিয় মথিত করিত। আমরা বুঝিতাম, পূজা আসন্ন। আশ্বিনেই রৌদ্র সোনালী বর্ণ ধারন করিত। সূর্যদেব তাঁহার উত্তাপ স্তিমিত করিয়া, সমস্ত চরাচর  জুড়িয়া মায়ালোক রচনা করিতেন। মহালয়া হইতে পাঠশালা ছুটি হইত। আমাদিগের ন্যায় বালকগণের সকল স্ফূর্তি, সকল গার্হস্থ্য অনুশাসনের তোয়াক্কা না করিয়া, মাঠে-ঘাটে

দোলযাত্রার চালচিত্র

Image
 দোল চিত্র  সৌমিত্র বৈশ্য  বাল্যকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছি, দোল ও দুর্গোৎসব, বাঙ্গালীর প্রধান উৎসব। বর্তমান কালে, এই বাক্যটিকে পলিটেকিলি বিশুদ্ধ করিতে হইলে, বলিতে হয়, হিন্দু বাঙালীর প্রধান উৎসব। বাঙ্গালীর সত্তায় দ্বিজাতী তত্ত্ব বর্তমানে অতিপ্রকট হইয়া উঠিয়াছে। ইহার যথোচিত লক্ষণও পরিলক্ষিত হইতেছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় দেবগণ স্বমহিমায় বরাকভূমে আবির্ভূত হইতেছেন। গণেশ পূজা মহাধূমধাম সহকারে উদযাপিত হইতেছে। অনতি অতীতে গনেশ ঠাকুর, পয়লা বৈশাখেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূজিত হইতেন এবং তিনি আকার-আয়তনে ব্যবসায়ীর দোকানের কুলিঙ্গিতে স্থান পাইবার মত আয়তন ধারন করিতেন। কিন্তু বর্তমানে যে গণপতি পাপ্পা প্যান্ডেল আলোকিত করেন, তিনি আকার-আয়তনে বিশালাকার। শিবাজী মহারাজও কদাচিৎ দর্শন দিলেও, বরাকভূমে স্বগৌরবে অভিষিক্ত হন নাই। দশেরাতে দশাননের নিধন যজ্ঞ অদ্যাপি আয়োজিত হয় নাই। তবে, একটি কুড়ি পঁচিশ ফুট দীর্ঘ দশানন পুত্তলি অগ্নিগ্রাসে ভস্মীভূত হইতেছে, এমন মেগাদৃশ্য একবার দেখিলে, বাঙালী নিশ্চিতই ঝাঁপাইয়া পড়িবে। কারণ, ইহা যুগলক্ষণ। ইহা ইভেন্টের যুগ, মেগা ইভেন্টের যুগ, রোড শো-র যুগ। দুর্গোৎসব গিয়াছে, দোল দুয়ারে

ক্যালাইডোস্কোপ ॥ পর্ব ৩

Image
হাম দো , হামারা দো এদিকে শীতের আমেজ, আর অন্যদিকে যুদ্ধের দামামা। দিপুদের কলোনিতে যে দু’টি কোয়ার্টারে রেডিও আছে, তার মধ্যে একটি দিপুদের। রাতে আকাশবাণী কলকাতা থেকে ভেসে আসে সংবাদ পরিক্রমা । আর তারপর পড়া হয় খবর। সবই উৎকর্ণ হয়ে শোনে সেই খবর। যুদ্ধের খবর। দিল্লী থেকেও বাংলা খবর পড়া হত। দিপুর খুব ভালো লাগে নীলিমা সান্যাল আর ইভা নাগের খবর পড়া। তাতেও থাকে যুদ্ধের খবর। কত লোক মারা যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনার হাতে। ওদিকে রাশিয়া আর আমেরিকার মধ্যে লেগে গেল দ্বন্দ্ব। রাশিয়া ভারতের পক্ষে, আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষে। আমেরিকা শাসাচ্ছে ভারতকে। রাশিয়া অভয় দিচ্ছে। আমেরিকা ভারতের দিকে পাঠিয়ে দিল সপ্তম নৌবহর। এই সপ্তম নৌবহর-এর কথা স্কুলে ওদের মুখে মখে ঘুরছে। অনেক নাম জানা হচ্ছে। ইয়াহিয়া খান, নিক্সন, ব্রেজনেভ । খবর এল রাশিয়াও পাঠিয়ে দিয়েছে তাদের নৌবহর। বঙ্গোপসাগর তপ্ত হয়ে উঠেছে। দিপুদের ঘরে পত্রিকা আসতে আসতে সন্ধ্যে। দিপুর বাবা যুগান্তর পড়েন। ওটা নাকি দেশের স্বাধীনতার সময় বিপ্লবীরা শুরু করেন। বাবার মতে আনন্দবাজার বুর্জোয়া পত্রিকা। স্টেশনে হুলারের স্টলে দিপু আনন্দবাজার দেখেছে। স্টলের সামনে লেখা এ. এইচ

দ্বিতীয় পর্ব

Image
  ।।২।। দেওয়ালের ভাষা দিপু তখন ক্লাস ফোর। নাকি ফাইভ ? ফোরই হবে। ফাইভ থেকে তো হাই স্কুল।  সকালের স্কুল। এক সকালে স্কুলে গিয়ে দেখে, স্কুলের সাদা দেওয়ালে, আলকাতরা দিয়ে লেখা, ‘চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান’ ; এরই পাশে ‘ বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস’ । সেটা শীতের এক সকাল। সবে নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে। শীতের কাচা-মিঠে রোদে , জটলাটা বাড়তে লাগল। রেল কলোনিতে এমনিতেই , হামেশা চোখে পড়ে, দেওয়ালে কত কি লেখা থাকে। দাঁদ-হাজা, নিতাই পিল থেকে শুরু করে, কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, শ্রমিক ঐক্য জিন্দাবাদ, মজদুর ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলন, বিশাল জনসভা,- রেলওয়ে ইন্সিটিউটের দেওয়ালে, রেলওয়ে কো-অপারেটিভের দেওয়ালে, লোকোশেডের দেওয়ালে, ওয়্যারলেস কলোনির কোয়ার্টারের দেওয়ালে , - কত কি লেখা থাকত। কিন্তু স্কুলের দেওয়ালে , আলকাতরা দিয়ে লেখা, এই দু’টি বাক্য, কি রকম রহস্যময় ঠেকল।  বিশেষ করে ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস’,- এক দুর্বোধ্য রহস্যের ইসারা নিয়ে, সকলের মাথার ঘিলুতে ভেসে রইল। ক্লাস শুরু হবার মুখে স্যার আসছেন, নাম ডাকার খাতা নিয়ে। সবাই ছুটে ছুটে ঢুকে গেল ক্লাসে। স্যার এক মুহূর্ত , থমকে

।। ক্যালাইডোস্কোপ ॥ ধারাবাহিক উপন্যাস

Image
   ।। ক্যালাইডোস্কোপ ।। সৌমিত্র বৈশ্য স্মৃতি # স্মৃতি গুলো এভাবেই আসে। সময়ের ক্রোমোজোম নিয়ে , মিশে থাকে আজকের সময়ের সাথে , মনের চিলেঘরে। বিকেল চারটে বাজতে না বাজতে , চলে এলাম মতিলাল - এ। চা ও মিস্টির দোকান।   শহরের মধ্যবর্তী হওয়ায় সারাদিন প্রচুর খদ্দের ভিড় করে থাকে। এরা আসে পাশের গাঁ - শহর থেকে। হাট - বাজার সেরে , জিরোয় ফ্যানের হাওয়ায় , চা - সিঙ্গারা খায়। চা পঞ্চাশ পয়সা , সিঙ্গারা এক টাকা , রসগোল্লা দু ' টাকা। আরো রকমারি মিষ্টিও আছে। সেগুলো সামান্য দামী । তবে পাঁচ - সাত টাকার চেয়ে বেশী নয় দাম। কেউ চা - সিঙ্গারর অর্ডার দিয়ে দিলে , শেখরদা জিজ্ঞেস করে , চাটনি দেব ? কেউ বলে , দাও। কেউ আবার বলে , না , না , চাটনি দিও না। রসগোল্লার সিরা দেও। সিরা মানে রস। রসগোল্লার রসে ভিজিয়ে , চামচ দিয়ে কেটে কেটে খায়। কেউ আবার পুরো সিঙ্গারাটাই চামচ দিয়ে কেটে , সিরা ঢেলে ভিজিয়ে নেয়। এরকম খদ্দের পরে আবার এলে ,  শেখরদা আলাদা বাটিতে করে সিরা দেয় ; যাতে সিঙ্গারাটা কেটে ফেলার পর , পুরো সিরাটা